চকরিয়ার নির্বাচন প্রশাসনের আস্থা বাড়াচ্ছে

বিশেষ প্রতিবেদক :

১৮ মার্চ অনুষ্ঠিত চকরিয়া উপজেলা পরিষদ ছিলো ব্যতিক্রম। ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হলেও নির্বাচন ছিলো অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ। যেটি ছিলো দৃষ্টান্তমূলক। এই ধরনের একটি নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। এ জন্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন তাঁরা।

১৪ মার্চ জেলার সকল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে প্রশাসন। ওই সভায় জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনসহ দুই রিটার্নিং অফিসার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির আহমেদ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন। তাঁরা তাঁদের সেই কথা রেখেছেন।

চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পুরোটাই ছিলো অবাধ এবং সুষ্ঠু। সামান্য ত্রুটি দেখা দেয়ায় পালাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নির্বাচন স্থগিতে ঘোষণা দেন রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির আহমেদ। অন্যদিকে, নির্বাচনে যাতে প্রভাব খাটাতে না পারেন সেজন্য সকাল থেকেই অনেকটা গৃহবন্দী হয়ে পড়েন সংসদ-সদস্য জাফর আলম। প্রশাসনের এই ধরনের কার্যকর পদক্ষেপে জনমনে আস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।

ফলে ২৪ এবং ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য জেলার অন্য উপজেলাগুলোর নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক মানুষ ভোট কেন্দ্রে আসার পরিবেশ সৃষ্টি হলো। ফলে আসন্ন নির্বাচনগুলোতে বিপুল সংখ্যক ভোটার জড়ো হতে পারেন ভোট কেন্দ্রে। প্রয়োগ করতে পারেন ভোটাধিকার। যা দেশের চলমান গণতন্ত্রের ভিত্তি শক্তিশালীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।